সিলেট ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে ফ্রান্স ও পর্তুগালের পাসপোর্টধারী দুই বাংলাদেশীকে ফেরত পাঠিয়েছে ইমিগ্রেশন পুলিশ। তারা বাংলাদেশ বিমানের এই দুই যাত্রীকে ইমিগ্রেশন না করে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে ফিরিয়ে দেয়।
বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে বিমানের বিজি-২০২ ফ্লাইটে লন্ডন থেকে সরাসরি সিলেট ওসমানী ওসমানী বিমানবন্দরে এসে নামেন। দুই যাত্রীর একজনের বাড়ি সিলেটের বিয়ানীবাজার উপজেলায় আর অন্যজনের বাড়ি চট্টগ্রামে। ফ্রান্স এবং পর্তুগালের পাসপোর্টধারী হলেও তারা দীর্ঘদিন ধরে যুক্তরাজ্যে বসবাস করছিলেন।
ওসমানী বিমানবন্দর ইমিগ্রেশন পুলিশের পরিদর্শক ফারুক আহমদ বলেন, করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের কারণে যুক্তরাজ্য ব্যতীত ইউরোপের অন্য দেশের পাসপোর্টধারীদের বাংলাদেশে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। এ কারণে ফ্রান্স এবং পর্তুগালের পাসপোর্টধারী দুজনের ইমিগ্রেশন করা হয়নি। তাদেরকে বিমান কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
এর আগে ১৬ ই মার্চ দুপুর ১২ টা থেকে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাসের কারণে ইউরোপ থেকে আসা যাত্রীদের জন্য বাংলাদেশের দরজা বন্ধের ঘোষণা কার্যকর হয়। ৩১ মার্চ পর্যন্ত এ নিষেধাজ্ঞা বলবৎ থাকবে বলেও জানিয়েছিল বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ (বেবিচক)।। তখন বলা হয়েছিল, নিষেধাজ্ঞা চলাকালিন সময়ের মধ্যে কোনো দেশের এমনকি বাংলাদেশিরাও ইউরোপের দেশ থেকে এলে তাদের গ্রহণ করা হবে না। তাদের নিজ খরচে ফেরত নিয়ে যেতে হবে বলে।
করোনাভাইরাস ব্যাপক আকারে ছড়িয়ে পড়ার পরিপ্রেক্ষিতে ইউরোপের দেশ ইতালি থেকে শয়ে শয়ে বাংলাদেশিদের আসার পর দেশে সংক্রমণ ঠেকাতে কঠোর এই সিদ্ধান্ত নেয় সরকার।
এদিকে করোনাভাইরাসে দেশে নতুন করে আরও তিনজন আক্রান্ত হয়েছেন। তাদের মধ্যে দুইজন পুরুষ ও একজন নারী এবং তারা একই পরিবারের সদস্য। সবমিলিয়ে দেশে এখন করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা ১৭ জনে দাঁড়াল। এরমধ্যে বাংলাদেশে প্রথম একজন করোনায় আক্রান্ত রোগী মারা গেছেন।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বৃহস্পতিবার (১৯ মার্চ) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন।